আওয়ামী লীগ আমলে গুম ও নির্যাতনের শিকার ইসলামী ছাত্র শিবিরের আরো ৭ জন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ জমা দিয়েছেন। এতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ৫৩ জনকে আসমি করা হয়েছে। এসময় ন্যায়বিচার নিশ্চিতের দাবি জানান অভিযোগকারীরা।

রোববার (১৭ই নভেম্বর) আলাদাভাবে তারা এসব অভিযোগ জমা দেন।

এদিকে, জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় হওয়া মামলায় বিগত সরকারের ১০ মন্ত্রী, দুই উপদেষ্টাসহ ১৪ জন আসামিকে আগামীকাল ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হবে বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর।

সাইফুল ইসলাম তারেক নামে এক ভুক্তভোগী নির্যাতনের নিয়ে কথা বলেছেন ট্রাইব্যুনালে। তার ইচ্ছা ছিল সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার। কিন্তু রাতে পড়াশুনা করা অবস্থায় তাকে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় বলে তার অভিযোগ।

এমনই ৭ জন ভুক্তভোগী নির্মম অভিজ্ঞতার বর্নণা দিয়ে রোববার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে ৭টি অভিযোগ দায়ের করেন। তারা জানান, নির্যাতনের মাত্রা এতটাই ছিল যে সেটা ভাষায় প্রকাশ করার মত নয়।

ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করার পর, ভুক্তভোগীদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল নোমান জানান, ৫৩ জন র‌্যাব ও সাদা পোশাকের পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।

এদিকে প্রতিদিনের মতো রবিবারও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে পরিদর্শন করেছেন প্রসিকিউশন টিম। ট্রাইবুনালের মূল ভবন পরিদর্শন করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম জানান, সোমবার হাজির করা হবে জুলাই গণহত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া বিগত সরকারের ১৪ জন সুবিধাভোগীকে।

শেখ হাসিনাসহ পলাতক আওয়ামী লীগ নেতাদের দেশে ফেরাতে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড নোটিশ জারির মাধ্যমে তাদেরও বিচারের আওতায় আনার ব্যাপারে আশাবাদী চিফ প্রসিকিউটর।